sunandasethwriter.com

STORY

A story is a narrative that conveys events, real or imagined, to inform, entertain, or provoke thought. At its core, a story connects characters, actions, and emotions within a framework that engages the audience. Stories are fundamental to human communication, serving as a way to share experiences, explore ideas, and make sense of the world.

স্বাধীনতা

“বৌদি আজ রাতে বাড়ি খাবো না” — শুভর  কথায় রান্নাঘর থেকে শ্রাবনী কারণ জানতে চাইলে শুভ বলে “দাদা আজ ক্লাবের ছেলেদের খাওয়াবে স্বাধীনতা উপলক্ষ্যে”। বারান্দায় বসে থাকা ষাটোর্ধ সিদ্ধার্থবাবু ভারী গলায় বলে ওঠেন,  “কাল সকালে সাদা পাঞ্জাবিতে ভাষণ আর দুটো দেশাত্ববোধক গান যে স্বাধীনতা নয়, সে বোঝার ক্ষমতা এ সমাজ হারিয়েছে; তাই স্বাধীনতার আগের রাতে আজকাল মহালয়ার পিকনিক হয় !”

বাবার কথায় শুভর বিরক্তি লাগে, সে জানে বাবা ‘দাদা’ মানে সদ্য নির্বাচনে জিতে আসা কাউন্সিলার বাপিদাকে ভালো চোখে দেখে না। যদিও তার যথেষ্ট কারণ আছে, একাধিক চাল কলের মালিক এই বাপিদা আদতে একজন অসৎ ব্যক্তি। পয়সার জোরে ক্ষমতা কিনে মিষ্টি ভাষায় যুব সমাজের মাথা চিবিয়ে খাচ্ছে বলে মনে করেন সিদ্ধার্থবাবুর মতো সভ্যজনেরা। শুভ তা মানতে নারাজ, কারণ রাজনৈতিক ক্ষমতা ছাড়া দেশ ও দশের কোনো উন্নতি সম্ভব নয় বলে তাঁর ধারণা।

বছর ছয়ের তিতলি এসে বলে, “কাকাই, কাল তো ‘ইন্ডিপেন্ডেন্স ডে মানে চকলেট ডে’ তুমি আমাকে একটা বড়ো চকলেট এনে দেবে কিন্তু !” আদরে বুকে  জড়িয়ে ধরে তিতলির আবদারে সম্মতি জানায় শুভ।

শ্রাবনী তিতলিকে বোঝাতে থাকে, “স্বাধীনতা দিবস মানে চকলেট ডে নয় সোনা মা।

দুষ্টু লোকেরা যখন আমাদের দেশকে বন্দি করেছিল, সাহসী যোদ্ধারা নিজেদের জীবনের বিনিময়ে তাদের থেকে আমাদেরকে বাঁচিয়ে দুষ্টুদের তাড়িয়েছিলো ঐদিন।”– দিদিভাই হয়তো এসব বুঝবেনা এখন, কিন্তু আমরা যারা ইতিহাস জানি তারাই কি ইতিহাস মনে রাখি বৌমা? শ্বশুরমশায় এর কথায় শ্রাবনী নিরুত্তর থাকে, স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে বাঁচা শ্রাবনীর মতো কত মেয়েদের স্বপ্ন থাকে যার বাস্তব পরিণতি পায় খুব কম সংখ্যায়। সে যুগে রামমোহন থেকে বিদ্যাসাগর যে নারী স্বাধীনতার জন্য আওয়াজ তুলেছিলো আজ তা শুধু ছাপার অক্ষরে রয়ে গেল। এদেশে লেখাপড়া করানো হয় বিয়েতে ভালো পাত্র পাবার আশায়! শ্রাবনীকেও ছাড়তে হয়েছিল সদ্য পাওয়া নিজের স্বল্প মাইনের চাকরি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার স্বামীর জন্য। সম্ভ্রান্ত স্বচ্ছল ঘরে শ্রাবনী যদিও ভালোই আছে কারোর স্ত্রী হিসাবে, কারোর মা, বৌদি না হয় বৌমা হিসাবে। শুধু নিজের বাড়িতে সেদিন যেমন তার কথা শোনা হয়নি তেমনি এ বাড়িতেও শ্রাবনীর মতামত শুধু অন্দরমহলের ঘরণী হিসাবে সীমাবদ্ধ। তবে আজ মনের এককোনে জমা হচ্ছে এক অদম্য ইচ্ছা, যা কিছুতেই অগ্রাহ্য করতে পারছে না সে। এক সপ্তাহ ধরে শহরের রাজপথে নির্যাতিতার মৃত্যু নিয়ে যে আন্দোলন চলছে আজ রাতে তারই প্রতিবাদে পথে নামবে সবাই। শ্রাবণীও নতুন সংকল্প নিচ্ছে। তাকে আজ রাতে মিছিলে যেতেই হবে। সকালে চারু এসে বলে গেছে সবাই থাকবে রাতের মিছিলে। শ্রাবনী আজ শুধুই কি নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে যাবে নাকি দুর্বৃত্তদের করা পৈশাচিক আচরণের বিচার চাইতে যাবে? এর আগেও তো গ্রাম থেকে শহরে দেশের নানা প্রান্তে এভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে  মিছিল হয়েছে, মোমবাতি জ্বলেছে তবুও কিছু বদলায়নি। শ্রাবনীর মতো সবাই খবর দেখে রাতে টেলিভিশন বন্ধ করে দিয়েছে, বন্ধ করে দিয়েছে চেতনাবোধ। কিন্তু এবার যে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে সবার। কোথাও যেন সংসারের সাথে সামাজিক দায়বদ্ধতার এক গভীর তাগিদ অনুভূত হয় তার মনে। আজ রাতের খাবারটা একটু তাড়াতাড়ি দিয়ে দিতে চায় শ্রাবনী; কিন্তু সে বাড়িতে কাউকে এখনো কিছু বলে উঠতে পারেনি, বিশেষ করে শাশুড়ি মা এটা মেনে নেবে না কিছুতেই। সোমনাথ রাজি থাকলেও সেদিন শুধুমাত্র মায়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে শ্রাবনীর চাকরিতে সম্মতি জানাতে পারেনি। বিয়ের বছর ঘুরতেই মা হওয়ার আনন্দে শ্রাবনীও মেতেছিল। কিন্তু আজ তিতলি বড়ো হওয়ার সাথে সাথে সে বুঝতে পারে নিজের স্বাধীনতা অন্যের হাতে বন্দী। সবাই খাবার খেয়ে ঘরে গিয়েছে, তিতলি এতক্ষনে ঠাম্মার ঘরে ঘুমিয়ে পড়েছে। শুভর ফিরতে ফিরতে রাত হবে, সোমনাথকে শুধু জানিয়েছে শ্রাবনী মিছিলের কথা। কর্মসূত্রে বাইরে থাকা সোমনাথ আজ অন্তত না করেনি, শুধু বলেছে অসুবিধা হলে শুভকে ফোন করতে। রান্নাঘরের কাজ সামলে যখন ঘরে গেলো শ্রাবনী তখন সাড়ে দশটা। মোবাইল খুলতেই চোখে পড়ছে সারা দেশ কিভাবে গর্জে উঠেছে! হঠাৎ শাশুড়ি মায়ের ডাকে দরজা খোলে শ্রাবনী, “বৌমা মিনুরা বেরিয়ে পড়েছে তুমি কখন যাবে?” শ্রাবনী অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ। মিনু শ্রাবনীর একমাত্র ননদ, দুর্গাপুরে থাকে। “মা, আপনি জানেন আমি যাবো!”

জবাবে শাশুড়ি মা বলেন, “তোমার বাবাকে বাবু সব জানিয়েছে। উনি আমাকে বুঝিয়েছেন, যে মেয়েরা ভালোবাসার বন্ধনে এই সংসার আগলে রেখেছে সমাজ তাকেই নিয়মের বেড়ি পরিয়েছে। যে দানবের ভয়ে তোমাদের মতো মেয়েদের আমরা সংসারের অজুহাতে আটকেছিলাম আজ সময় এসেছে ওই মানুষরূপী পিশাচদের ভয় পাওয়ার। এ বাড়িতে মহিলাদের চাকরির চল ছিলোনা আগে থেকেই তাই তোমার মতো আমার শ্বশুর আমাকে বৌ করে আনার পরেও স্কুল পাস্ করিয়েছিলো তবে বাইরে কাজে যেতে দেয়নি। আমিও সেই নিয়ম পালন করে চলছিলাম। এখন যুগ পাল্টেছে, বাবু এখানে থাকে না সবসময় , দুমাস আগেও তোমার বাবাকে নিয়ে মাঝ রাতে হাসপাতালে দৌড়াতে হয়েছে তোমাকে। আজ তোমাদের লড়াই কোনো একটি বিষয়ে নয়, এ লড়াই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ শক্তির লড়াই। নিরাপদ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে তোমরা যদি লক্ষ অর্বুদের মতো ঝরে পড়ো, তেজস্বী সূর্যকেও মুখ লুকাতে হবে মেঘের আড়ালে। মনে রাখবে দুর্বৃত্তদের কোনো জাত, কোনো লিঙ্গ, কোনো জীবিকা হয় না; তাদের একটাই পরিচয় তারা দুর্বৃত্ত।”

শাশুড়ি মাকে নতুন রূপে দেখছে যেন শ্রাবনী, এতদিন তার মনে জমে থাকা অভিমানের পাথরটা কে যেন সরিয়ে দিলো এক লহমায়। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে যত আড়াল যত বদ্ধ ধারণা সব কিছুর মুক্তি হতে চলেছে মনে হলো শ্রাবনীর। চারুর ডাকে দরজার দিকে খানিক এগিয়ে গিয়ে পিছনে ফিরে এসে শাশুড়ি মায়ের  চরণ ছুঁয়ে আশীর্বাদ চায় শ্রাবনী, মাথায় হাত রেখে অপরদিকে আওয়াজ আসে “জয়যুক্ত হও”।

বোধ

সন্ধ্যার চা নিয়ে বাণী ঘরে ঢুকতেই  কল্পনাদেবী বলেন, “বৌমা খোকা দাদুভাইকে এতো বকছিল কেন?” স্বভাবসিদ্ধ শান্ত ভঙ্গিতে বাণী উত্তর দেয়, “তেমন কিছু না মা, ওই বুকাইয়ের পড়াশোনা নিয়ে একটু আর কী!” বাণী জানে বৃদ্ধার কাছে একমাত্র নাতির কোনো অন্যায় চাক্ষুস হবেনা তাই ঘটনা বর্ণনা নিষ্প্রয়োজন। কিন্তু বুকাইকে নিয়ে চিন্তা বাড়ছে যত দিন যাচ্ছে। নামিদামী স্কুল থেকে বাড়ির মাস্টার কোনো কিছুতেই কার্পণ্য করেনি জয়ন্ত। সব বিষয়ে ‘এ’ প্লাস পেলেও অংকে কিছুতেই ‘বি’ প্লাসের বেশি হচ্ছেনা ছেলের, তাই নিয়ে যত গণ্ডগোল। মোটা মাইনা চাকরি তার, পরিশ্রমী হলেও স্বল্পবুদ্ধির জয়ন্ত মনে করে এই বাজারে অঙ্ক, বিজ্ঞানে ভালো নাম্বার না পেলে জীবন বৃথা। নিজের ছেলের জন্য শিক্ষা নামক বস্তুটি তাই বাজারের সবথেকে দামি প্রোটিন পাউডারের মতো। কিনে গুলে খাইয়ে দিতে চায় যেন সে! এ সংসারে জয়ন্তর মতো বাবাদের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়, যারা শিক্ষার শুরু থেকে চাকরি পর্যন্ত পুরো প্যাকেজটাই কিনতে চায়! আর আশানুরূপ ফল পেতে গিয়ে ছেলেমেয়েদের বানিয়ে ফেলে রেসের ঘোড়া। বাণী অবশ্য বিশ্বাস করেনা ভালো স্কুল বা স্কুলের মাস্টাররা সবসময় ভালো পড়াতে পারবে। সারাদিন স্কুল, টিউশনে আটকানো বুকাইকে দেখে বাণীর খুব অসহায় মনে হয় মাঝে মাঝে। নিজেরা এইসময় কত খেলাধুলা করে সময় কাটিয়েছে। কিন্তু যুগের সাথে তাল মেলাতে এদের শৈশবটা হারিয়ে যাচ্ছে একটু একটু করে। বুকাই খুব ভালো ছবি আঁকতে পারে কিন্তু অংকের বদলে অঙ্কনে কি ভবিষ্যৎ তৈরি হবে? তাই হয়তো অচিরেই কঠিন কঠিন অংকের ফর্মুলার ফাঁদে ধুলো জমে বুকাইয়ের সাধের রং পেন্সিলে!

শিক্ষাব্যবস্থার এই জাঁতাকলে নিরুপায় বাণীর হঠাৎ মনে আসে নিজের স্কুলজীবনের এক শিক্ষকের কথা, যার কাছে অংকের ভুত ভালোবাসায় পরিণত হতো নিমেষে। সে অনেক কষ্টে খুঁজে বের করে তার সেই  প্রিয় মাস্টারমশায় চন্দ্রনাথবাবুর ঠিকানা। একদিন দুপুরে দেখাও করতে যায় তাঁর সাথে। বুকাই এতো ভালো স্কুলে পড়েও অংকে দুর্বল শুনে মাস্টারমশাই একটু হতবাক বার্ধক্যজনিত কারণে প্রথমে রাজি নাহলেও প্রিয় ছাত্রী বাণীকে শেষ পর্যন্ত না করতে পারলেন না চন্দ্রনাথবাবু। ঠিক হলো সপ্তাহে একটা দিন বুকাইকে অঙ্ক শেখাতে যাবেন চন্দ্রনাথবাবু । জয়ন্তকে এখনই কিছু বলতে চায়না বাণী। ডিগ্রিধারী মাস্টাররা যেখানে বুকাইকে বোঝাতে পারছেনা সেখানে সাধারণ একজন সরকারি বিদ্যালয়ের বয়স্ক শিক্ষক পারবে বলে জয়ন্ত মানবে না। আগাগোড়াই অংকের সাথে একাত্মটা ছিল চন্দ্রনাথবাবুর, তবে অর্থাভাবে বড় ডিগ্রি প্রাপ্তি হয়নি তাঁর। প্রথমদিনেই চন্দ্রনাথবাবুকে ভালো লেগে যায় ক্লাস সিক্সের ছাত্র বুকাইয়ের। ভালোবেসে নতুন স্যারকে বুকাই “অঙ্কদাদু” বলে। শিক্ষক ও ছাত্রের মেলবন্ধনে বাণীও নিশ্চিন্ত হয়। যথারীতি ক্লাস টেস্টে ‘এ’ প্লাস’ নাহলেও ‘এ’ গ্রেড পায় বুকাই। যে কোনো শিক্ষকের কাছে কোনো বাচ্চা পারে না বলে দেওয়াটা খুব সোজা, কিন্তু কেন পারেনা সেই কারণ খোঁজার লোক মেলা কঠিন। বাণীর কাছে সেই ভরসার লোকটা ছিল চন্দ্রনাথবাবু। তিনি কোনো জাদু জানেন না সত্যি তবে বুকাইয়ের এতদিনের সমস্যার কারণ জানতে চাইলে বাণীকে তিনি বলেন “আধুনিক পদ্ধতি নয়, গোড়ায় পৌঁছাতে হবে যেকোনো বিষয়ের।” চন্দ্রনাথবাবুর কথায় এই সমাজ বড় তাড়াহুড়ো করছে তাই তো পরিণত মস্তিস্কর থেকে উন্নত মস্তিষ্কের পিছনে ছুটছে। যে বয়সে যতটুকু জানা দরকার সেটুকুই ভালোভাবে জানা দরকার সেটাই স্বভাবিক বৃদ্ধি। বাণী মাস্টারমশাইয়ের কথাগুলো একমনে শুনছিলো আর ভাবছিলো ছেলের জন্য সে তো এমন একজনকেই খুঁজছিলো। এতদিনে অংকদাদুকে বুকাই তার আঁকা ছবির খাতা দেখিয়ে ফেলেছে। যা দেখে অতি প্রসন্ন হয়  চন্দ্রনাথবাবু। এই প্রথম বুকাইয়ের ছবির কেউ এত প্রশংসা করেছিল। যা শুনে বুকাই খুব খুশি হয়েছিল। সেদিন পড়ানো শেষে একটা বিজ্ঞাপনের কাগজ বাণীর হাতে দিয়ে বলেন, সম্ভব হলে দাদুভাইকে নিয়ে যাস এখানে। বিজ্ঞাপনটা ছিল একটা বড় আর্ট এক্সিবিশনের। শেষপর্যন্ত  স্যারের কথা মতো বুকাইয়ের দুটো ছবি এক্সিবিশনে পাঠায় বাণী। ছেলের অংকের ফল ভালো হাওয়ায় চন্দ্রনাথ বাবুর কথা জয়ন্ত ইতিমধ্যেই জেনেছিলো।খুশি মনে  আগের মাস্টারের পরিবর্তে চন্দ্রনাথবাবুকেই শিক্ষক হিসাবে রেখে দেয় সে। 

কিছুদিন পর একদিন সকালে একটি নিমন্ত্রণপত্র আসে জয়ন্তদের বাড়িতে, যেখানে লেখা থাকে মোটা হরফে জয়জিৎ সরকার (বুকাই এর পোশাকি নাম )। এক্সিবিশনে দেওয়া ছবি দুটোতে বুকাই প্রথম পুরস্কার পেয়েছে। বাণীর চোখের কোণায় তখন আনন্দাশ্রু। একছুটে চিঠিটা নিয়ে শাশুড়িমাকে দেখায়। খুশিতে বিহ্বল কল্পনাদেবী আপ্লুতো স্বরে বলে ওঠে, “আমি জানতাম আমার দাদুভাই অনেক নাম করবে। খোকাকে আগে খবরটা জানাও।” বাণী সম্মতিসূচক মাথা নাড়ে। আর মনে ভাবে আধুনিক শিক্ষিত সমাজ যতদিন পুঁথিসর্ব্বস্ব জ্ঞানের পিছনে ছুটবে ততদিন জয়ন্তর মতো মানুষেরা বুঝতে পারবে না যে  বিষয় নয় দক্ষতা জীবন গড়তে পারে।

Scroll to Top